জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ অনেকটা নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 148.53-এর লেভেলের টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত ছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই 148.52 লেভেলের আরেকটি টেস্ট হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 25 পিপস বেড়ে যায়।
গতকাল সেশনের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল এবং ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের মন্তব্য ডলারকে সমর্থন দেয়, যার ফলে ইয়েনের উপর চাপ তৈরি হয়। মার্কিন খুচরা বিক্রয় সূচকের ইতিবাচক পরিসংখ্যান এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে ফেডের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির ইঙ্গিত মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী হওয়ার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। অপরদিকে, সুদের হার সংক্রান্ত সংবেদনশীলতার কারণে জাপানি ইয়েন চাপের মুখে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে সুদের হারের ব্যবধান ইয়েনকে বিনিয়োগকারীদের কাছে কম আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
আজ, জাপানের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রকাশিত হয়েছে, যা বৃদ্ধি পেয়ে 3.3%-এ পৌঁছেছে—এই ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সঙ্গে পুরোপুরিভাবে সঙ্গতিপূর্ণ। যদিও এই ফলাফল প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবুও এটি জাপানের অর্থনীতিতে চলমান মুদ্রাস্ফীতির চাপকে নির্দেশ করে। দীর্ঘদিন ধরে ঋণাত্নক মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করা একটি দেশ এখন নতুন অর্থনৈতিক বাস্তবতার সাথে খাপ খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তার মুখোমুখি হয়েছে। পূর্বাভাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ফলাফল সাধারণত মার্কেটে বড় ধরনের প্রভাব না ফেললেও, বৃহত্তর অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এমন ফলাফলকেও বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির ধারাবাহিকতা বিবেচনায়, ব্যাংক অফ জাপানের মুদ্রানীতিতে যে সতর্কতা ছিল তা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন হতে পারে, যা ইয়েনের বিনিময় হারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। স্বল্পমেয়াদে, ট্রেডাররা সম্ভবত ভোক্তা মূল্য সূচকের বিস্তারিত বিশ্লেষণের দিকে নজর দেবে, যাতে বোঝা যায় কোন উপাদানগুলো মুদ্রাস্ফীতিকে সবচেয়ে বেশি চালিত করছে। মূলত লক্ষ্য রাখার মতো ক্ষেত্র হলো: জ্বালানির মূল্য, খাদ্যপণ্য, এবং সেবা খাত।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 149.44-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 148.90-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 149.44-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য দরপতনের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 148.61-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 148.90 এবং 149.44-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 148.61-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 148.06-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস বাউন্সের আশা করছি। আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 148.90-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 148.61 এবং 148.06-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।